হাত-পা বেঁধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’, চিকিৎসক কারাগারে

রাজধানীর দক্ষিণখানে একটি ক্লিনিকে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার নামের এক পল্লি চিকিৎসককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে গত শনিবার কিশোরীর বাবার মামলার ভিত্তিতে ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে দাক্ষিণখান থানা পুলিশ। এরপর আজ তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করেন।

কারাগারে যাওয়া ওই চিকিৎসক বড়গুনা জেলার বামনা থানার চালিতা বুনিয়া গ্রামের জোগেন্দচন্দ্র তালুকদারের ছেলে। আর ধর্ষিত কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল বাদী মেয়ের চোখের আঘাতের সমস্যা নিয়ে হাজী মিল্লাত স্কুলের পাশের দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থায় (ক্লিনিক) আসামিকে দ্বারা চিকিৎসার করান। কিন্তু সমস্যা ঠিক না হওয়ায় গত ২৩ এপ্রিল দুপুর আড়ায়টায় আবার গেলে আসামি পরীক্ষা করে স্যালাইন লাগান এবং একটি ইনজেকশন আনার জন্য বাদীকে বলেন। বাদী অনেক খোঁজা-খুঁজির পর তা না পেয়ে সাড়ে ৩টার দিকে ফেরত আসেন এবং বেলা ৪টার দিকে স্যালানইন শেষ হওয়ায় মেয়েকে বাসায় নিয়ে যান। বাসায় যাওয়ার পর মেয়ে আরও অসুস্থ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসায় সে জানায়, স্যালাইন দেওয়ার সময় গত ২৩ এপ্রিল বেলা আড়াইটার দিকে আসামি তাকে ধর্ষণ করে।

তবে আদালতে আসা আসামির স্ত্রী ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই মেয়ের ফুফুর কাছ তার স্বামী জমি কিনেছে। ওই জমির দখল নিয়ে মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে তাদের বিরোধ আছে। ওই বিরোধের জের ধরে মিথ্যা মামলা করেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment